‘হাঁড়িধোয়া’ নদী দখল ও দূষণমুক্ত করণের লক্ষে সচেতনতামূলক সভা

নরসিংদী জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ‘হাঁড়িধোয়া’ নদী দখল ও দূষণমুক্ত করণের লক্ষে সচেতনতামূলক সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নরসিংদী বড় বাজার সংলগ্ন হাঁড়িধোয়া নদীর পাড়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরীন।
সভায় নদী দূষণমুক্ত রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূইয়া, নরসিংদী সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান কাউছার, নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায়, নরসিংদী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বাবুল সরকার, হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টু, চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান তুহিন, জাকির হোসেন মাস্টার প্রমুখ। এসময় বড় বাজারের ব্যবসায়ীসহ আশপাশের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা স্কাউট সম্পাদক ও নরসিংদী আইডিয়াল হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মন্জিল-এ মিল্লাত।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরীন বলেন, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা যত বাড়ছে পরিবেশের দূষণও তত বাড়ছে। প্রতিনিয়ত এসব দূষণ আমাদের পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনছে। নদী মায়ের সমান। আপনারা এ নদীকে রা করুন। এ নদী রার মাধ্যমে নিজেকে এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রা করুন। আপনারা সহযোগিতা করলে হাঁড়িধোয়া নদী দূষণমুক্ত হবে। পরিবেশও দূষণমুক্ত হবে। কারণ নদীর পানিতে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত হওয়ায় এ নদীর প্রবাহিত পানি বিভিন্ন এলাকার জমির ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। নদীর মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন থেকেই এই দূষণ রোধ করা না গেলে ভবিষ্যতে পরিবেশ বয়াবহ রূপ নেবে।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূইয়া বলেন, নরসিংদী শহরকে রক্ষার জন্য প্রথমবারের মতো জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য “ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট” সভা হয়েছে। আশাকরি, নরসিংদী শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, হাঁড়িধোয়া নদীর তীরে ৯টি ডাইং ফ্যাক্টরী রয়েছে। তারা রাতের আঁধারে অপরিশোধিত রাসায়নিক পদার্থ যেন নদীর পানিতে ফেলতে না পারে সেজন্য আইপি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশনা পেয়েছি। এই ক্যামেরা সংস্থাপনের ফলে দিনে রাতে সবসময় ঘরে বসেই আমরা দেখতে পারবো ফ্যাক্টরীর রাসায়নিক বর্জ্য পরিশোধন করে নদীতে ফেলছে কি না।