বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নরসিংদীতে তাওহীদ-ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে হেযবুত তাওহীদের মতবিনিময় সভা ঢাকা অঞ্চলের পিস অ্যাম্বাসেডর নেটওয়ার্ক (প্যান) গঠিত নরসিংদী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দক্ষতা ও উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত নরসিংদী নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত। নরসিংদীতে কৃষকলীগ নেতা গ্রেপ্তার আল্লাহর বিধানেই মানবতার মুক্তি’ নরসিংদী কর্মী সম্মেলনে হেযবুত তওহীদের ইমাম মাধবদীতে ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি কাউছার কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান নরসিংদী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নতুন সভাপতি মাখন দাস রোটারী ক্লাব অব মাধবদীর প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক ও সেক্রেটারী এমদাদুল হক নির্বাচিত নরসিংদী জেলা সাংবাদিক সমিতি ঢাকা’র নব নির্বাচিত কমিটিকে সংবর্ধনা

ইজারাদারের চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের নামে মিথ্যাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক | নিউজ ফাস্ট বিডি ডটকম: / ১০৬৬
প্রকাশকাল বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩

নরসিংদীর করিমপুর বাজারে ইজারার টাকা আদায়ের নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় ইজারাদার সেলিম সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর জের ধরে নরসিংদীর তিন সাংবাদিকের নামে চাঁদাবাজির অপবাদ এনে মিথ্যাচার করছে সেলিম সরকারের চাঁদাবাজির দোসর মাঈনউদ্দিন সরকার।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন, দৈনিক অধিকার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার প্রতিনিধি ও মাধবদী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মকবুল হোসেন, অনলাইন পোর্টাল নিউজ টোয়েন্টি ওয়ান এর নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি রাজিব আহমেদ।

এদিকে ইজারাদার সেলিম সরকার নিজে বাঁচার জন্য তার চাঁদাবাজির দোসর মামলাবাজ মাঈনউদ্দিন সরকারের যোগসাজশে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে ভুক্তভোগি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার সহ সোস্যাল মিডিয়ায় মনগড়া সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে মিথ্যাচার করছে।

এলাকায় খোঁজ নিলে স্থানীয়রা জানান, সেলিম সরকারের চাঁদাবাজির দোসর মাঈনউদ্দিন ইতিপূর্বে ও খোরশেদ মিয়া নামে এক অটোরিক্সা চালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দেয় যার নং ৮১৮। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব ছিলেন পিবিআই। অবশেষে পিবিআইয়ের তদন্ত শেষে উক্ত মামলা মিথ্যা প্রমানিত হলে মিথ্যা মামলার দায়ে মামলাবাজ মাঈনউদ্দিন নিজে জেল খাটে।

তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগে চাঁদাবাজ ইজারাদার সেলিম সরকার উল্লেখ করেন যে নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ও সদস্য মকবুল হোসেন তার চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে পত্রিকায় কোন সংবাদ প্রকাশ না করার শর্তে দুই লাখ টাকা দাবি করেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেন সাংবাদিক মনিরুজ্জামান। যার প্রমাণ তার কাছে নেই বলে পরবর্তীতে সেলিম স্বীকার করেছে। এখানে তার মিথ‍্যাচারে আরো একটি উদাহরণ এই যে, দুইজন সাংবাদিক তাকে আলাদাভাবে ডেকে নিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। গত বুধবার (৩ মে) তাদের চাঁদাবাজির বিষয়ে করিমপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে তাদের ইজারা বাতিল করে নতুন করে ইজারা দেওয়ার দাবি জানান।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সরেজমিনে করিমপুর বাজারে যান নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সমন্বয়ক মকবুল হোসেন ও সঙ্গীয় সাংবাদিক টিম। সেদিন করিমপুর বাজারে ওই সাংবাদিকগণ সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহে গেলে তার সাথে কথা বলাতো দূরের কথা দেখাই পায়নি কেউ। পরে মোবাইল ফোনে তার বক্তব‍্য নেয়া হয়।

সাংবাদিক টিম করিমপুর বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে দৈনিক অধিকারসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। এসকল সংবাদ নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়ার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এর সত্যতা যাচাই করে ইজারাদার সেলিম সরকার গং, বাজারের ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সদস্যদেরকে গত ৮ মে একটি লিখিত চিঠি প্রেরণ করেন। যার ফলশ্রুতিতে এলাকার এক সময়ের ছেঁচড়া চোর মাঈনউদ্দিনের যোগসাজশে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এমন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি করা সহ সোস্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

(মাঈনউদ্দিনের ছেঁচড়া চুরিসহ বিভিন্ন কার্যকলাপের অনেক আলামত নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন‍্যান‍্যদের কাছে সংরক্ষিত আছে)

উল্লেখ্য গত ৮ তারিখের পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১০ মে) দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল আড়াইটা পর্যন্ত নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে ইজারাদার সেলিম সরকার গং, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীবৃন্দ, বাজার কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে শুনানী শেষে সেলিম সরকার গংদের চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হয়। সেখানে তারা নিজেরাই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এককালীন টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করে। তাছাড়া তিনটি শিডিউল কিনে চালাকি করে একটি শিডিউল ড্রপ করে ইজারা বাগিয়ে নেয়ার বিষয়টিও প্রমাণিত হলে পরবর্তী কার্যদিবসের মধ্যে এমপি সাহেবের সাথে আলোচনা করে তাদের ইজারা বাতিল সংক্রান্ত আদেশ লিখিতভাবে জানানো হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়া।


এই পাতার আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর