নরসিংদীর পলাশে দলিল লেখকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, আদালতে মামলা

- নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর পলাশে নজরুল ইসলাম দানা নামে এক দলিল লেখকের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ১৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার দুই জনকে আসামি করে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নরসিংদীতে একটি মামলা দায়ের করেছে।
সূত্রঃ পলাশ সি.আর মামলা নং ১৯৩/২০২৪.
আসামিরা হলো, নজরুল ইসলাম দানা (৩৫), দলিল লেখক ও তার ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম রানা (৩০).
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার মালিতা এলাকার আরিফুর রহমান রানার স্ত্রী ও মামলার বাদী জেসমিন রোজী বেগম জমি রেজিস্ট্রি করতে তার নিকটাত্মীয় দলিল লেখক নজরুল ইসলাম দানার মালিকানাধীন মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজে যান। সেখানে গিয়ে জমি রেজিস্ট্রি খরচের ব্যাপারে আলোচনা করলে নজরুল ইসলাম দানা বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী রেজিস্ট্রি বাবদ আনুমানিক ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার এবং পারিশ্রমিক ৫০ হাজার সহ মোট ১৪ লক্ষ টাকা লাগতে পারে বলে জানান এবং যদি এর কম লাগে তাহলে বাকি টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে গত ৬ জুলাই ২৩ তারিখে ১৪ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে একটি এওয়াজ দলিল সম্পাদন করেন।
পরে গত ২৯ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে দলিলের জাবেদা নকল প্রাপ্তির পর দেখা যায় দলিলটি ৬৮ লক্ষ টাকা মূল্যে রেজিঃ সম্পন্ন করা হয়েছে যার সর্বসাকুল্য খরচ ৭ লক্ষ টাকার উপরে নয়। পরে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে বাদিনীর কাছ থেকে সময় নিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেয়। এরপর থেকে সে টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে এবং এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বাদিনি, তার মা এবং ভাইকে মেরে ফেলা সহ দলিল বাতিল করে ফেলার হুমকি দেয়।
মামলার বাদিনী জেসমিন রোজী বেগম বলেন, দলিল লেখক আমার নিকটাত্মীয় হওয়ার সুবাদে তার নিকট দলিল করাতে যাই। সে আমার সরলতার সুযোগে দলিল মূল্য কম দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করে ও কোন প্রতিকার পাইনি। পুলিশ টাকা খেয়ে তার পক্ষে রিপোর্ট দিয়েছে বিধায় বাধ্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
বর্তমানে আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে তার কষ্টার্জিত ৭ লক্ষ টাকা ফেরত পাওয়া সহ প্রতারক নজরুল ইসলাম দানার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম দানার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি তার উপর আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দলিলের সরকারী ফি যা আসে তা তারা নিজেরাই জমা দিয়েছেন। আর আমার পারিশ্রমিক বাবদ পঞ্চাশ হাজার টাকা আমার মায়ের কাছে দিয়ে এসেছেন। এর বাইরে তার কাছ থেকে আর কোন টাকা পয়সা নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।