সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনার মাষ্টার মাইন্ডদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধ

সফিকুল ইসলাম রিপন ঃ
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দুর্বৃত্তদের হামলায় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট গোলাম রাব্বানী নাদিম এর নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনার মাষ্টার মাইন্ড সহ সকল আসামিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে নরসিংদী জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক বৃন্দ। শনিবার সকাল ১১ টায় নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে নাদিম হত্যার ঘটনায় সকল আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। নইলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেয়া হয়।
মানববন্ধনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন, সদস্য হলধর দাস, সঞ্জিত সাহা, সুমন বর্মণ, নরসিংদী রিপোর্টাস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সফিকুল ইসলাম রিপন, সিনিয়র সহসভাপতি শাহাদাৎ হোসেন রাজু, সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের নরসিংদী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, চ্যানেল আই টিভির জেলা প্রতিনিধি সুমন রায়, বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি সুজন বর্মণসহ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি থাকায় বার বার সাংবাদিক হত্যার শিকার হচ্ছে। অতীতে কোন সাংবাদিক হত্যার বিচার পায়নি। সাগর-রুনীর হত্যার শুধু আদালতে তারিখের উপর তারিখ পরছে। জামালপুরের সাহসী সাংবাদিক নাদিম ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে নিউজ করে তাদের রোষানলের শিকার হয়েছিলো। তিনি জীবনের নিরাপত্তার দাবি করেছিলো। প্রশাসন তার কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তাকে আজ অকালে প্রাণ হারাতে হলো। ঘটনার দুই দিন পর ও মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা অবিলম্বে তাকে আইনের আওতায় আনার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার অফিসের কাজ শেষে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জ পাথাটিয়ায় পৌঁছালে সামনে থেকে অতর্কিত আঘাত করে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়।
এরপর দেশীয় অস্ত্রধারী ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তাকে সড়ক থেকে মারধর করতে করতে টেনেহিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যায় এবং তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। সে সময় সহকর্মী মুজাহিদ তাদের আটকাতে গেলে তাকেও মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সহকর্মী মুজাহিদ ও স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।