নরসিংদীর শিবপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

সফিকুল ইসলাম রিপন ঃ নরসিংদী
নরসিংদী শিবপুর উপজেলার দেওয়ানের টেক গ্রামে নরসিংদী জেলা পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মেজুর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ডাকাত দল নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটায় এ ঘটনা ঘটে। নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ ও শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুজ্জামান, এস আই কামরুজ্জামান সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি ফরিদুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনাস্থল দেখে এসেছি, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বাড়িটি দুইতলা ২ কক্ষ বিশিষ্ট। বাড়িতে একটি কক্ষে মেজবাহ উদ্দিন ও তার স্ত্রী বাস করেন। অপর কক্ষ ফাঁকা ছিল। মুখোশপরা ডাকাত দলের ৭ সদস্য খালি কক্ষের পাশের বারান্দার গ্রিলের দশটি রড কেটে ভিতরে ঢুকে থাই জানালার দুটি রোড কেটে কক্ষে প্রবেশ করে। এককক্ষের আলমারি থেকে ১৯ লক্ষ টাকা নিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে। ঐরুমে শুয়ে থাকা মেজবাহ উদ্দিন এর গলায় ছুরি এবং পেটে দেশি অস্ত্র ঠেকিয়ে চাবি সংগ্রহ করে। কক্ষে থাকা আলমারি থেকে আরো ১৫ লাখ নগদ টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। তার স্ত্রী চিৎকার করতে চাইলে তার গলায়ও ছুড়ি ঠেকায়। মুখোশধারী ডাকাতরা কক্ষে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মেজবাহ ও তার স্ত্রীকে জিম্মি করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
মেজবাহ বলেন শুক্রবার দিবাগত রাত অনুমান ৩টার দিকে ৭ জনের একটি মুখোশধারী ডাকাতদল অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ির বারান্দার ও থাই জানালার গ্রিল কেটে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। পরে ডাকাতদল আমাকে ও আমার স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। ডাকাতদল ২টি আলমিরার ড্রয়ার থেকে রক্ষিত ১৭ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, প্রায় ৪০ লাখ নগদ টাকা, ২টি বাটন মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৫৪ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে একটি মোবাইল ফোন রাস্তার পাশে ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া যায়। মেজবাহ জানায়, ডাকাত দল পৌনে চারটার দিকে বাড়ি থেকে লুট করা মালামাল নিয়ে রাস্তার পাশে রাখা একটা হাইস গাড়িতে উঠে ঢাকা সিলেট হাইওয়ে রাস্তার দিকে চলে যায়। এ ব্যাপারে শিবপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা রজু করা হয়েছে বলে জানান শিবপুর থানার ওসি ফরিদুজ্জামান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) অনির্বাণ চৌধুরী, শিবপুর থানার ওসি ফরিদুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স সহ শনিবার রাত সাড়ে দশটায় ঘটনাস্থল পুনঃ পরিদর্শন করেন।