নরসিংদীতে ট্রাক-ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মামলা করেন পঙ্গু শ্রমিক কাউছার

সফিকুল ইসলাম রিপন ঃ নরসিংদী
নরসিংদী জেলা ট্রাক-ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও কার্যকরী সভাপতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন পঙ্গু শ্রমিক কাউছার মিয়া। গত ৩১/৮ / ২০২৩ ইং নরসিংদীর অতিরিক্ত চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ সিদ্দিকীর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, নরসিংদী জেলা ট্রাক-ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন নামে এই সংগঠনটি ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে। সংগঠনটিতে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। সংগঠনের সদস্যদের ভর্তি ফি বাবদ জন প্রতি ২ হাজার টাকা, এবং প্রতি ৩ বছরান্তে ১ হাজার টাকা করে সদস্য নবায়ন ফি আদায় করা হয়। তাছাড়া বিগত ২০১৮ সালে মজিদ মোল্লা ফাউন্ডেশন থেকে শ্রমিক কল্যানের জন্য আব্দুল কাদির মোল্লার কাছ থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া আরও ২০ লাখ টাকা। অনুদানের এই টাকা ব্যাংকে এফডিআর করে এর লভ্যাংশ শ্রমিকদের কল্যানে ব্যয় করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
তাছাড়া সংগঠনের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে তাদের পরিবারের তার মৃত্যু ভাতা হিসেবে এক লাখ টাকা প্রদান করা কথা থাকলেও বিগত পাঁচ বছরে একজন সদস্যের মৃত্যু ভাতা প্রদান করা হয়নি।
নরসিংদী জেলা আদালতে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ সিদ্দিকীর আদালতে জেলা ট্রাক-ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধা (৫০), কোষাধ্যক্ষ মো. সুলতান (৪৫), কার্যকরী সভাপতি খোরশেদ আলম তাবিজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেজবাহ উদ্দিন (৪৫)নামে নরসিংদী সি, আর মামলা নং ১০৪০/২০২৩ইং।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বাদীর আরজি আমলে নিয়ে বিষয়টি নরসিংদী সদর থানা পুলিশকে তদন্তের ভার ন্যাস্ত করে। আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় বিজ্ঞ বিচারক। সদস্যদের কল্যাণে নিমিত্তে ২০১০ সালে ড্রাইভার, হেলপার,শ্রমিকদের অর্থ সামাজিক, ন্যায্য অধিকার, প্রতিষ্ঠা, করার লক্ষে, শ্রমিকদের যে কোন সমস্যা, সমাধান করার জন্য ও আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করার অঙ্গীকার করে এবং নিহত শ্রমিকদের এককালীন টাকা পরিশোধ করবে প্রতিশ্রতি দিয়ে নরসিংদী জেলা ট্রাক, ট্রাকলড়ী কভার্ডভ্যান প্রতিষ্ঠা করে। তথাপি প্রতারক দল তিনহাজার শ্রমিকদের নিকট হইতে নিয়মিত টাকা আদায় করে নিজেদের কল্যাণে ব্যয় করে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধা রাতারাতি কোটিপতি বনে যায়, এক সময় ঢাকা টু ভৈরব রোর্ডের ড্রাইভার নিজেই পাঁচটি গাড়ির মালিক, রয়েছে একাধিক বাড়ি, অথচ ২০২১ সালে শাহজাহান খান নিজ হাতে মৃত ড্রাইভারদের পরিবারের হাতে দশ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেয়, যা পরিশোধ হয় নাই, এমতাবস্থায় শিবপুরের চালক কাউছার ২০১৬ সালে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে তার দুই পা মারাত্বক জখম হয়। তার চিকিৎসা ব্যয় ভার বহন করার কথা থাকলে করেনি। তাই কাউছার মিয়া ন্যায় বিচারের স্বার্থে এবং ক্ষতি পূরণের আশায আদালতের আশ্রয় গ্রহন করে।