পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারে মঙ্গলবার বিকেলে তার লাহোরের জামান পার্কের বাসভবনে যায় পুলিশ। এরপরই পুলিশের সঙ্গে সেখানে সংঘর্ষে জড়ায় ইমরান সমর্থকরা। পরে টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় ইমরান তার সমর্থকদের রাস্তায় বেরিয়ে আসতে বললে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোতেও।
বিক্ষোভ চলছে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদ, পেশোয়ার ও করাচির মতো শহরগুলোতে। করাচির কাউয়ুমাবাদ চৌরঙ্গী, চুন্ড্রীগর ২, হাসান স্কয়ার এবং সোহরাব গোথ এলাকায় জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার পিটিআই কর্মীরা। পেশোয়ারে বিপুল সংখ্যক পিটিআই সমর্থক প্রেস ক্লাবের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন। প্রেসক্লাবে বিক্ষোভের পর, পিটিআই কর্মীরা শহরটির শের শাহ সুরি সড়ক অবরোধ করে গভর্নর হাউসের দিকে মিছিল শুরু করেন।
এদিকে ইসলামাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, পিটিআই বিক্ষোভকারীরা টারনল রোড অবরোধ করেছিল। কিন্তু যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে সময়মতো ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা। ইমরান খানের নির্দেশে রাস্তা অবরোধকারী পিটিআই কর্মীদের বিরুদ্ধে টারনল থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ইসলামাবাদ পুলিশের ডিআইজি।
এর আগে টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় ইমরান জানান, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে জামান পার্কে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘তারা মনে করে আমাকে গ্রেপ্তার করার পর জাতি কোনো প্রত্যুত্তর দিবে না। তাদেরকে ভুল প্রমাণ করার দায়িত্ব হবে আপনাদের (সমর্থকদের)।’
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘অধিকার ও সত্যিকারের স্বাধীনতা ফিরে পেতে প্রত্যেকের তাদের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসা উচিত। যদি আমার কিছু হয় এবং আমাকে জেলে পাঠানো হয় বা আমাকে হত্যা করা হয়, আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি ইমরান খানকে ছাড়াই সংগ্রাম করবেন এবং এই চোরদের দাসত্ব মেনে নেবেন না।’