সফিকুল ইসলাম রিপন ঃ নরসিংদী

২০২৪ সালের শুরুতেই হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। এবার নরসিংদী সদর আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি, ও জেলা আওয়ামীলীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ,তৃণমুলের একমাএ পছন্দের ডাকসাইট নেতা আলহাজ্ব কামরুজ্জামান কামরুল । সদর উপজেলার দলীয় নেতা কর্মী ছাড়াও হাজারো মানুষের পছন্দের এই মানুষটি এবার মনোনয়ন চাইবেন জেনে উপজেলার দুটি পৌরসভা ও ১৪ টি ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের মাঝে আনন্দও লক্ষ করা যাচ্ছে। সবার ধারনা একজন সফল করোনা যোদ্ধা ও মানবিক নেতা আলহাজ্ব কামরুজ্জামান কামরুল মনোনয়ন পাইলে ভোটাররা খুশি হয়েই ভোট দিবেন।
কামরুজ্জামান কামরুল ছাত্রজীবন থেকেই নানাভাবে জনসেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। সর্বশেষ ২০২২ সালে জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে দল তার দলীয় কার্যক্রম দেখে খুশি হয়ে জেলার ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পন করেন। নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতির মাঠে যার রয়েছে অবাধ বিচরণ, দলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে চষে বেড়াচ্ছে জেলাব্যাপী, বিগত জেলার ৫ টি আসনে জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে যেমন, নরসিংদী সদর, পলাশ,শিবপুর, মনোহরদী, রায়পুরা সহ প্রতিটি উপজেলার আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে যা যা করার দরকার সবই তিনি করেছেন। তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজয় ছিনিয়ে এনে জননেএী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছেন।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, আলহাজ্ব কামরুজ্জামান কামরুলের বাবা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। এবং তৎকালীন একজন সমাজ সংস্কারক হিসেবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন । কামরুজ্জামান কামরুল এর বড় ভাই প্রয়াত মেয়র শহিদ লোকমান হোসেন নরসিংদী পৌরসভাকে নান্দনিক পৌরসভায় রুপান্তর করে পৌরবাসির নিকট অমর হয়ে আছেন।যিনি স্থানীয় সরকার কতৃর্ক গোল্ডমেডেল পেয়ে নরসিংদী পৌরবাসিকে আলোকিত করেছিলেন। পরবর্তী জনাব কামরুজ্জান কামরুল তার ভাইয়ের দেখানো পথে হেটে পরপর দুইবার সফল মেয়র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তবে এবার তিনি নরসিংদী সদর আসন থেকে আওয়ামিলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। যিনি মেয়র লোকমান হোসেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। এ ছাড়া ও তিনি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা, এতিমখানার সাথে যুক্ত থেকে মানবিক সহায়তা করে থাকেন। ২০১৪, সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতিকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ব্যাপক অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন কামরুজ্জামান কামরুল। যা সর্বজন স্বীকৃত। তরুন প্রজন্মের আস্থা ভাজন এই নেতা
৯০ এর গণ আন্দোলন ৯১ ও ৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন। স্থানীয় আ,লীগ নেতা ও ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব হোসেন আলী জানান, নরসিংদী-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই তবে আদর্শিক নেতৃত্বের দাবিদার হিসেবে সকলের পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করছেন প্রয়াত জননন্দিত পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের ছোট ভাই নরসিংদী পৌরসভার দুইবারের সাবেক সফল মানবিক মেয়র, নরসিংদী শহর আ,লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল। তিনি এই প্রজন্মের কাছে আওয়ামী লীগের আস্থার, প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা এমপি হিসেবে তাকেই চাই।,,,,,,,,, করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোসহ তিনি উপজেলার গরীব-অসহায় ও সর্বস্তরের মানুষদের পাশে থাকেন সব সময়, গরীব পিতার সন্তানদের বই-খাতা কিনে দেয়া, ধর্মীয় উৎসবগুলোতে মানুষের পাশে সর্বদাই থাকেন তিনি।
নরসিংদী শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরমেয়র আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন বাচ্চু জানান, কামরুজ্জামান কামরুল একজন ভাল মানুষ হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত, এমন মানুষকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচিত তো হবেনই পাশাপাশি সদর উপজেলার উন্নয়ন আরো বেগবান হবে। সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আসাদ আলী বলেন আমরা আর কোন আমলাকে নরসিংদী সদরের এমপি হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা নরসিংদী সদরবাসি সুখে দুঃখে যাকে কাছে পাই এবং যার সাথে মন খুলে কথা বলতে পারি সে হলো আমাদের কামরুজ্জামান কামরুল ভাই আমরা এমপি হিসেবে তাকেই চাই। নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী বলেন দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমি তার পক্ষে কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবো।
সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বললে তারা জানান,আলহাজ্ব কামরুজ্জামান কামরুল একজন সৎ মানুষ, আমাদের বিপদে আপদে তিনি সব সময় পাশে থাকেন।
দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
আমরা এবার তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। আলহাজ্ব কামরুজ্জামান কামরুল দৈনিক স্বাধীন সংবাদকে জানান, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন আর আমাকে যদি মনোনয়ন দেন তাহলে নির্বাচিত হয়ে সদর উপজেলার সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবো, এবং জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে যা যা করার দরকার সবই করবো।